R.D. BURMAN // রাহুলদেব বর্মন এক জীবনের গল্প
Episode description
স্কুলে কলেজে পড়ার সময়ে টেবিল, বেঞ্চ বাজিয়ে গান কে না গেয়েছে। কিন্তু সিনেমার গানের রেকর্ডিংয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছে বললে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। তবে সত্যি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছিল। যিনি ঘটিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, একমেবদ্বিতীয়ম রাহুলদেব বর্মন। যন্ত্রসঙ্গীত নিয়ে তাঁর মতো এত পরীক্ষা নিরীক্ষা খুব কম সঙ্গীত পরিচালকই করেছেন। কখনও কাচের গ্লাস বাজিয়ে, কখনও কোল্ড ড্রিঙ্কের ফাঁকা বোতলে ফুঁ দিয়ে, কখনও গায়িকার গলায় জল দিয়ে গার্গল করিয়ে সেই শব্দকেই যন্ত্রসঙ্গীত হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেরকমই একবার পড়ার ডেস্ককে একটি গানের যন্ত্রানুসঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। কীভাবে? গুলজারের ভাষ্যে বাকিটা পড়ুন।
আমি উত্তমকুমারকে নিয়ে একটা ছবি করেছিলাম। ছবিটার নাম ‘কিতাব’। আমার অন্যান্য ছবির মতো সেই ছবিতেও পঞ্চমই ছিল সঙ্গীত পরিচালক। কিতাবে একটা গানের সিকোয়েন্স ছিল যেখানে স্কুলের একটি ক্লাসে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা টিচারের অনুপস্থিতিতে বেঞ্চ বাজিয়ে গান গাইছে, যেমন আমরা সবাই এক সময়ে করেছি। গানের কথাগুলি ছিল, ‘আ আ ই ই মাস্টারজি কি আ গয়ি চিঠঠি’। আমি গান লিখে দিয়ে এসেছি। পঞ্চম সুরও করে ফেলেছে। সে সুর আমাকে শুনিয়েছে। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু তখনও বুঝতে পারিনি আমার জন্য আরও চমক অপেক্ষা করছে। ফিল্ম সেন্টারে যেদিন গানের রেকর্ডিং সেদিন পৌঁছতেই দেখি একের পর এক স্কুলের ডেস্ক ঢুকছে রেকর্ডিং রুমে। আমি তো হাঁ! আজ তো গানের রেকর্ডিং, তাহলে এত ডেস্ক কী হবে? ভিতরে ঢুকে দেখি পঞ্চমও এসে গিয়েছে। শুরু হল রিহার্সাল। ওমা! দেখি গানের সঙ্গে মূল বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ডেস্ক বাজানো হচ্ছে। গানে অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহৃত হলেও, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডেস্ক বেজে গিয়েছে। এসব পঞ্চমের পক্ষেই সম্ভব। ইউ টিউবে গানটি আছে একবার শুনে দেখবেন।
তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব
Facebook:
https://facebook.com/EtiTomaderArnab
Insta:
https://instagram.com/eti_tomader_arnab
Youtube: